শবে কদর কবে ২০২৪ | শবে কদর নামাজের নিয়ত (আরবি ও বাংলা)
আসসালামু আলাইকুম। লাইলাতুল শব্দের অর্থ রাত্রি বা রজনি। আর কদর শব্দের অর্থ সম্মানিত। অর্থাৎ লাইলাতুল কদর বা শবে কদর মানে হল সম্মানিত রাত।
আজকে আমরা আলচনা করব লাইলাতুল কদর এর রাত কবে ২০২৪, নামাজের নিয়ম ও নিয়ত এবং ফজিলত এই বিষয়গুলো নিয়ে ইনশাআল্লাহ। অতি সংক্ষেপে তথ্যবহুল কন্টেন্ট এর বিশ্লেশন আপনিও পড়ুন এবং সঠিক তথ্য জানুন।
শবে কদর
আসলে পবিত্র রমজান মাস আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ , ইবাদতের একটি মাস। এই মাসে পবিত্র কুরআনুল কারিম নাজিল হয়েছে। রমজান মাসটিকে ১০ দিন করে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
- রহমত
- মাগফিরাত এবং
- নাজাত
এই মাসের গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ একটি রাত সেটি হল লাইলাতুল কদর । হাদিস থেকে বর্ণিত যে,
সুতরাং পবিত্র রমজানের শেষের ১০ দিনের বিজোড় রাত গুলোতে ইবাদতে নিজেকে লিপ্ত রাখতে হবে। যদিও পুরো রমাজান মাসই ইবাদতের মাস। তার মধ্যে উত্তম হল শবে কদরের ফজিলত পূর্ণ এই রাত।
শবে কদর ২০২৪ কবে
পবিত্র রমজান এর শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর কোনো একটিতে লাইলাতুল কদর এর রাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর এর মধ্যে ২৭তম রাতে হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন হাদিস থেকে এ ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তাই বলা যায় ৬ই এপ্রিল দিবাগত রাত হল লাইলাতুল কদর এর রাত ।
- এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের শবে কদর ৬ই এপ্রিল(২৩ই চৈত্র) পালিত হবে। তবে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর ২৭ তম রাতেই যে হবে তার নিশ্চয়তা নেই। পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাত্রিতে তালাস করতে বলা হয়েছে।
- তাই ২৫ রমজান প্রথম সম্ভাব্য রজনী ২৫ই রমজান, দ্বিতীয় সম্ভাব্য রজনী ২৭ই রমাদান, তৃতীয় সম্ভাব্য রজনী ২৯ই রমাদান, চতুর্থ সম্ভাব্য রজনী ২৩ই রমাদান এবং পঞ্চম সম্ভাব্য রজনী হিসাবে ২১ই রমাদান কে ধরা হয়।
আপনি কি শিক্ষা, ট্রেনের খবর, ট্রাভেল গাইড, মার্কেট গাইড সহ সকল জেলার আপডেট পেতে চান ? তাহলে আপনি উঁকি মারতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ এ!!
শবে কদর নামাজের ফজিলত
শবে কদরের ফজিলত অনেক। বলা হয়ে থাকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম এই মাস , গুনাহ মাপের মাস। আর এই রমজান মাসেই এমন একটি রাত আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেসে যা আমাদের সকলেরই জানা।
এত এত বরকতময় এই রাত, এই রাতের ইশা এবং ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করলেও সারা রাত নামাজের সউয়াব আল্লাহ আপনার আমার আমলনামায় লিখে দিবেন ।সুবহানাল্লাহ। হাদিসে আছে যে,
যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় শবে কদর এ ইবাদত করবে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
(মুসলিম, হাদিস : ৭৬০; বুখারি, হাদিস : ২০১৪)
কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই শবে কদর রাত্রি আমরা কি কল্পনা করেছি? এই রাতেই পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। স্বয়ং মহান আল্লাহ নিজে বলেছেন যে,
তাই এই রাতে অবহেলা করা যাবে না । মন প্রান দিয়ে আল্লাহকে ডাকতে হবে। আমরা সবাই গুনাহগার ,গুনাহ মাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে তউবা করতে হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল । এই পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর ২০২৪ এর উসিলায় আল্লাহ আমাদের সকল গুনাহ খাতা গুলা মাফ করে আমল দিয়ে ভরপুর করে দিন আমিন। এই বরকতময় রাত যারা মিস করবে তাদের মত হতভাগা আর কেও নাই। স্বয়ং মহানবি হযরত মহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন যে,
শবে কদর নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআতাই সালাতিল লাইলাতিল কাদ্রি নফ্লে মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি- আল্লাহু আকবর।
আরবি নিয়ত
আমি কিবলামুখি হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকআত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়ত
জুম্মা মোবারক স্ট্যাটাস ২০২৪
শবে কদর নামাজের নিয়ম
শবে-কদরের নিয়ম সাধারন নামাজের মতই। দুই রাকাত করে নিয়ত করতে হবে। যে যা পারেন নফল নামাজ আদায় করবেন চেষ্টা করবেন সর্বনিম্ন ২০ রাকাত সালাত আদায় করতে। প্রতিবার সুরা ফাতিহা পড়ার পর শবে কদর সুরা পড়ে রুকু সিজদায় চলে যাবেন।
বিঃদ্রঃ যারা শবে-কদর সুরা জানেন না তারা তিনবার সুরা ইখলাস পড়ে নামাজ আদায় করলে নামাজ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। নামাজ শেষে “সুব্হানাল্লাহি ওয়াল হাম্দু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা হা’ওলা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল্ আলীয়্যিল আযীম” এই দুয়া পড়া উত্তম।