কাটাবন মার্কেট | কাটাবন পাখির দোকান এবং বিড়ালের দাম 2024

4.8/5 - (6 votes)
কাটাবন মার্কেট
কাটাবন মার্কেট

কাটাবন মার্কেট ঢাকা বাংলাদেশের প্রধানতম শপিং মলের মধ্যে একটি। এটি ঢাকা শহরে শাহবাগ এলাকায় অবস্থিত। কাটাবন মার্কেটে বিভিন্ন প্রকারের পণ্য পাওয়া যায়, যেমন পোশাক, কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স, খাদ্য পানীয় এবং বিশেষ করে পোষা বিড়াল, কুকুর, পাখি সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়।এখানে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করা হয় যেমন বিনামূল্যে ওয়াইফাই সংযোগ এবং কাঠামো সেবা।

কাটাবন মার্কেট অনেকটা একটি পার্টিশন ভিত্তিক শপিং মল এর মতো যেখানে বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফ্লোর আছে। এছাড়াও সম্পূর্ণ দোকানের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে যেমন পোশাক, পশু-পাখি, ইলেকট্রনিক্স, খাদ্য- পানীয় এবং বিভিন্ন সুবিধা বিন্যাস করা হয়েছে যাতে ক্রেতারা সহজেই পছন্দ মতো পণ্য খুঁজে পেতে পারে।

আপনি কি শিক্ষা, ট্রেনের খবর, ট্রাভেল গাইড, মার্কেট গাইড সহ সকল জেলার আপডেট পেতে চান ? তাহলে আপনি উঁকি মারতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ এ!!

কাটাবন মার্কেট | Katabon Market

কাটাবন মার্কেট (Katabon Market) বাংলাদেশের একমাত্র বিশাল পশু পাখির সম্ভারশালা হিসাবে পরিচিত। এই মার্কেট টি রাজধানী ঢাকা জেলার শাহবাগ এর পাশে কাটাবন এ অবস্থিত। এখানে খুব সহজেই যাওয়া যায়। কেননা এই মার্কেটটি ধানমন্ডির সাথেই অবস্থিত। কাটাবন মার্কেট বাংলাদেশের একটি বিশাল ও প্রখ্যাত বাজার।

কাটাবন মার্কেটে অনেক বিক্রেতা আছে যারা সেখানে দৈনিক কাজ করে থাকেন এবং প্রতিদিন অনেক ক্রেতার ভিড় লক্ষ করা যায়। এছাড়াও, কিছু বিশেষ দিনে এখানে বিশেষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয় যেমন রমজান, ঈদ, বসন্ত উৎসব ইত্যাদি।

ঢাকার কোন মার্কেট কবে বন্ধ থাকে জেনে নিন এক ক্লিক 

কাটাবন মার্কেট কবে বন্ধ থাকে

  • কাটাবন মার্কেট (Katabon Market) গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর মার্কেটিং রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন অনুসারে মঙ্গলবার পূর্ণ দিন এবং বুধবার অর্ধ দিবদ বন্ধ থাকে। এছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

কাটাবন মার্কেট কোথায়

কাটাবন রাজধানী ঢাকার কাটাবন( Katabon) এ অবস্থিত। শাহবাগ বাস স্টপ থেকে পশ্চিম দিকে সামান্য আগালে বাটা সিগনাল এর পরই কাটাবন মোর অবস্থিত। অপরদিকে সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ এর দিকে এলিফেন্ট রোড হয়ে আগালে কাঁটাবন মোড় দেখা যাবে। এই মোড় থেকে পায়ে হেটে কাটাবন মার্কেট যাওয়া যাবে।

কাটাবন বিড়ালের দোকান

অনেকেই জানতে চান যে, কম দামে বিড়াল কোথায় পাওয়া যায় ? উত্তরঃ কাটাবন এ খুব কম দামে ভাল ভাল বিড়াল পাওয়া যায়। এখানে বেশ কিছু বিড়ালের দোকান সারিবদ্ধভাবে সাজান আছে যেখান থেকে পছন্দ মত বিড়াল ক্রয় করা যাবে। ৪০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ২৫০০০-৩০০০০ টাকা মূল্যেরও বিড়াল রয়েছে।দেশি বিদেশি সব ধরনের বিড়াল পাওয়া যায় এখানে। তবে এই দাম শপ টু শপ নির্ভর করে। তাই বিড়াল ক্রয় করার আগে মান যাচাই ও দাম দর করে ঠিক করে নিতে হবে।

কাটাবন পাখির দোকান

  • কাটাবন মার্কেট (Katabon Market) পাখির দোকান এর জন্য একটি আদর্শ যায়গা। দেশ বিদেশের নানান প্রজাতির পাখি এখানে পাওয়া যায়। শালিক, ময়না, টিয়া সহ কথা বলা পাখহি ও শিকারি পাখি ও পাওয়া যায়। ২০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত মানের পাখির সংগ্রহশালা এই দোকান গুলো। কেনার আগে অবশ্যই দাম জিজ্ঞেস করে নিবেন, কেননা আলাদা আলাদা দোকানে আলাদা আলাদা দামে এসব পাখি বিক্রি হয়।

কাটাবন কুকুরের দাম

আমাদের অনেকেরই পোষা কুকুর বা ডগ/ডগি অনেক পছন্দের। তাদের শরীরের উষ্ণ পশম আমাদের আনন্দ দেয়, একা থাকার মুহূর্তগুলো তাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়। তাছারা কুকুরকে সব থেকে বেশি প্রভুভুক্ত প্রানি বলা হয়ে থাকে।

জি হ্যাঁ, এই কাটাবন মারকেতে অতি সল্প মূল্যে কম বয়সি কিংবা মাঝারি বয়সের ক্কুর ছানা কেনা যাবে। এটির চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। তবে ৫০০ টাকা থেকে অনেক দামি দামি কুকুর এর কালেকশন রয়েছে এই মার্কেট এ।তো দেরি কেন আজই আপনার পছন্দের কুকুর ছানা কিনে নিয়ে আসুন শহরের অন্যতম জনপ্রিয় এই মার্কেট থেকে।

  • এই কাটাবন মার্কেটে লাসা কুকুরের দাম ২০-২২ হাজার, রাসিয়ান স্মল ১৮-২০ হাজার, জাপানিজ শর্ট ১৫-১৮ হাজার টাকা। এছাড়াও এখানে কম দামে বেশ ভালো মানের বিড়াল পাওয়া যায়।

কাটাবন মার্কেট কিভাবে যাব

বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত কিংবা রাজধানী ঢাকার যেকোনো এলাকা থেকে কাটাবন মার্কেট এ আসা যাবে খুব সহজে। বেশ কিছু জনপ্রিয় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট( বাস ) রয়েছে যেগুলোর মাদ্ধমে সহজেই আসতে পারবেন ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মদ্ধেই। নিচের টেবিলটি খেয়াল করুন।

যাত্রা শুরুর স্থানআসার উপায় ( বাস সমূহ)
মিরপুর ১ ছাড়া সব সেক্টর হতেএখান থেকে কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া,আগারগাও, ফার্মগেট, কাওরান বাজার হয়ে শাহবাগ নামতে হবে। বেশ কিছু বাস শাহবাগ এর উদ্দেশে ছেরে যায় যেমন শিকড়, বিহঙ্গ, হিমাচল ইত্যাদি। সেখান থেকে সায়েন্স ল্যাব গামি যেকোনো বাসে করে কাটাবন মোড় এ নেমে পায়ে হেটে যাওয়া যাবে।
মিরপুর ১ হতেএখান থেকে মিরপুর ১০ নং হয়েও আসা যাবে তবে বেস্ট রোড হচ্ছে টেকনিকাল, কল্যাণপুর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি কলাবাগান হয়ে সায়েন্স ল্যাব যাওয়া। সেখান থেক পূর্বে পায়ে হেটে কিংবা রিক্সা করে। বেশ কিছু বাস এর মধ্যে মিরপুর মেট্রো, দিশারী, ট্রান্স সিল্ভা, বাহন উল্লেখযোগ্য।
ফার্মগেট/ কাওরান বাজার হতেএখান থেকে প্রথমে শাহবাগ, তারপর কাঁটাবন বাস স্ট্যান্ড।
বাড্ডা/রামপুরা হতেসরাসরি রমজান বাসে কাটাবন বাস স্টেশন। তারপর পায়ে হেটে ২ মিনিট এর পথ।
উত্তরা/এয়ারপোর্ট হতেএখান থেকে বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট বাসে প্রথমে শাহবাগ কিংবা সায়েন্স ল্যাব নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে কাটাবন মার্কেট। তবে বলাকা কিংবা আজমেরি গ্লরি বাসে করে মহাখালি, মগবাজার হয়ে প্রথমে কাকরাইল তারপর সেখান থেকে রমজান কিংবা তরং প্লাস বাসে সরাসরি।
শাহবাগ/প্রেসক্লাব/পল্টন/গুলিস্তান হতেএখান থেকে সায়েন্স ল্যাব/ ধানমন্ডি গামি সকল বাস এ আসা যাবে। উল্লেখযোগ্য বাস এর মদ্ধে মিদল্যান্ড অন্যতম।
নিউ মার্কেট/কলাবাগান/ধানমন্ডি হতেএখান থেকে আসার সহজ রাস্তা হল প্রথমে সায়েন্স ল্যাব আসা। তারপর সেখান থেকে রিক্সা কিংবা পায়ে হেটে।
গাবতলি/সাভার/ নবীনগর/বাইপাইল হতেএখান থেকে জনপ্রিয় বাস এর মদ্ধে সাভার পরিবহন,দিশারী,মিরপুর মেট্রো ইত্যাদি।
মৌচাক/মালিবাগএখান থেকে সরাসরি রমজান কিংবা তরঙ্গ প্লাস বাসে আসা যায়।
নারায়ণগঞ্জ হতেসরাসরি আসতে হলে হিমাচল বাসে শাহবাগ বাস স্টপ কিংবা মেঘলা বাসে করে সরাসতি কাটাবন বাস স্ট্যান্ড।

প্রশ্নঃ কাটাবন মাছের দোকান কেমন ?

উত্তরঃ কাটাবন মার্কেট এ অনেক ভাল তাজা তাজা মাছ পাওয়া যায়। এখানে বেশ কিছু মাছের দোকান রয়েছে যেখানে বিক্রেতারা পশরা নিয়ে বসে আছে মাছ বিক্রির জন্য। প্রতিদিন শত শত মানুষের সমাগম ঘটে মাছ ক্রয় এর জন্য। এছারাও এখানকার তাজা তাজা মাছের লাফালাফি দেখতেও মানুষজন ভিড় জমায়।

প্রশ্নঃ কাটাবন বিড়ালের দাম কত ?

উত্তরঃ এই কাটাবন মার্কেটে বেশ কিছু প্রজাতির বিড়াল রয়েছে। যেমন পার্সিয়ান বিড়াল ২০-২৫ হাজার, পানসিয়েস বিড়াল ২০-৩০ হাজার, সেমিপান্স ২০-২২ হাজার, জিঞ্জার ডল ফেজ ১০-১৫ হাজার, অ্যামেরিকান শর্ট এয়ার ২০-২২ হাজার টাকা। এছাড়াও এখানে কম দাম এ ভাল মানের বিড়াল পাওয়া যায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *