জাতীয় বৃক্ষ মেলা সময়সূচী ২০২৪ | Brikkho Mela 2024
বৃক্ষ মেলা হচ্ছে বাংলাদেশের জনসাধারণকে কৃষি, বন, বনায়ন এর গুরুত্ব ও পরিবেশের উপর বনের প্রভাব সম্পর্কিত ধারণা বাস্তবিকভাবে প্রদানের একটি উৎকৃষ্ট প্রচেষ্টা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বন অধিদপ্তর মাসব্যাপী এ বৃক্ষ মেলা আয়োজন করে থাকে।
বৃক্ষ মেলা | Brikkho Mela
কৃষি এবং বৃক্ষ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি এ বিষয়ে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে কৃষি বিষয়ক আধুনিক প্রযুক্তি যেমনঃ উন্নত জাতের ফসল, আধুনিক চাষাবাদের কলাকৌশল, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি এবং কৃষকের উৎপাদিত আকর্কৃষণীয় কৃষি সামগ্রী ইত্যাদি প্রদর্শন এবং বিক্রি করার জন্য উপজেলা, জেলা এবং জাতীয় পর্যায়ে যে মেলার আয়োজন করা হয় তাকে কৃষি ও বৃক্ষ মেলা বলা হয়।
সাধারণত এই মেলায় জনগণের মাঝে কৃষি এবং বৃক্ষ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে ফুল ফল ফসল ইত্যাদি সম্পর্কিত উন্নত জ্ঞান সম্প্রসারণ এবং ফসল বৃক্ষের চারা উৎপাদন রোপণ সুস্থ ব্যবহারের আগ্রহ সৃষ্টির প্রয়াস ইত্যাদি চালানো হয়।
ঘুরে আসুন বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর এ। এটি বর্তমানে রাজধানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমন স্পট।
বৃক্ষ মেলার উদ্দেশ্য
প্রতিটি সাংস্কৃতিক কিংবা ঐতিহাসিক মেলার তিন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় বৃক্ষ মেলারও কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ
- বৃক্ষ রোপনের জনগণকে সচেতনতা সৃষ্টি করা
- সাধারণ মানুষকে বৃক্ষের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সমাহার ঘটানো এবং এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা
- সাধারণ মানুষকে গাছ রোপণে আগ্রহী করা এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী চারা সরবরাহ করা।
- কাঠের বহুবিধ ব্যবহার এবং নান্দনিক দিক জনসাধারণের মাঝে তুলে ধরা
- কিভাবে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে এবং চাষের মাধ্যমে অর্থনীতির লাভ করা যায় এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করা ইত্যাদি।
আপনি কি শিক্ষা, ট্রেনের খবর, ট্রাভেল গাইড, মার্কেট গাইড সহ সকল জেলার আপডেট পেতে চান ? তাহলে আপনি উঁকি মারতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ এ!!
জাতীয় বৃক্ষ মেলা কবে শুরু হয়
৫ জুন রাজধানীর আগারগাও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে শুরু হয় জাতীয় বৃক্ষ মেলা সময়ঃসকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা ।ওইদিন মেলার উদ্বোধন ও করা হয়। দীর্ঘ ১ মাস চলে এই বৃক্ষ মেলা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এখানে আসে দেশিও বিদেশী সব ধরনের গাছ এই মেলায় পাওয়া যায়। ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকার গাছ এখানে পাওয়া যায় ,মানুষের চাহিদা সব ধরনের গাছ এখানে পাওয়া যায়।
জাতীয় বৃক্ষ মেলা অনুচ্ছেদ ও বৃক্ষায়ন
বৃক্ষমেলার মুল ও প্রধান লক্ষ হচ্ছে গ্রাম থেকে শহরের সর্ব স্তরের মানুষের মাঝে গাছ রোপণ এর প্রতি আগ্রহি করে তোলা। ভৌগোলিক অবস্থানে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুকিতে থাকা একটি দেশ প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পরিবেশ রক্ষায় ও জীববৈচিত্র্য টেকসই পরিবেশ গড়ে তুলতে ,আর্থ সামজিক উন্নয়নে গাছ রোপণ ও বনায়ন কর্ম সূচিকে ও অগ্রসারিত করতে হবে।আমাদের দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ৪০ ভাগ বনায়ন বা সবুজায়নথাকার কথা সেখানে দেশে আছে মাত্র ১৭.২ শতাংশ বনায়ন। যে কারনে বনবিভাগ সামাজিক ও প্রাক্বতিক ম্যানগ্রোভ বন তৈরির কার্যক্রম হাতে নিয়েছে এই দেশ পৃথিবীর মধ্য অন্য তম একটি জনবহুল দেশ যার আয়তন মাত্র ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার যা জনসংখার তুলনায় একদম ছোট। কিন্তু আমাদের ছোট এই দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদে ভরপুর আমাদের দেশের মাটি অনেক উড়বর। এই উর্বর মাটিতে যেনতেন ভাবে বিজ বা গাছের চারা পুতে রাখলেই সুন্দর একটি গাছে রুপান্তরিত হয় এরপর ও আমাদের গাছপালা ও সবুজের ঘাটতি রয়েছে ।জীবন বাচাতে যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমন অক্সিজেনেরও প্রয়োজন ,আর সেই প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগান আসে গাছপালা থেকে ।এজন্যই গাছ আমদের পর বন্ধু আমাদের অমূল্য সম্পদ ও পরিবেশের ঢাল সমান।গাছপালা না থাকলে পরিবেশের পশুপাখি কিট পতঙ্গও কমে জাবে।তার প্রভাব মানব জিবন ও কৃষি কাজে পরে থাকে ।যদি সরকার অন্যান্য শিল্পের মত নার্সারি শিল্প ও মালিকদের প্রতি একটু নজর দেয় তাহলে নার্সারির মালিকরা দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে যেমন ভুমিকা রাখবে তেমনি জলবায়ুর পরিবর্তনে অভিঘাত মোকাবিলা হতে পারে । প্রতিটি জেলা উপজেলায় সরকারি ভাবে নার্সারি গড়ে উঠলে স্থানীয় আশেপাশের এলাকার লোকজন গাছ রোপণের প্রতি আগ্রহি হয়ে উঠবে।
বৃক্ষ মেলা কি না1মে পরিচিত
এটি জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা নামে পরিচিত। প্রতিবছর পাঁচই জুন থেকে পাঁচই জুলাই পর্যন্ত দীর্ঘ একমাস এই মেলা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়।
জাতীয় বৃক্ষ মেলা ২০২৪ সারকুলার ছেরেছে ,না ছারলে ছাড়বে কবে ?
কিছুদিন অপেক্ষা করুন। মে মাসের শেষের দিকে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হতে পারে।