জাতীয় স্মৃতিসৌধ | জাতীয় স্মৃতিসৌধ কোথায় অবস্থিত

5/5 - (1 vote)

জাতীয় স্মৃতিসৌধ (National Memorial) বাংলাদেশের একটি আইকনিক ল্যান্ডমার্ক এবং স্বাধীনতার জন্য দেশের স্থায়ী সংগ্রামের একটি প্রমাণ। রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত, এটি দেশের গৌরব মণ্ডিত অতীতের একটি জাতীয় প্রতীক।

প্রায় দুই দশক ধরে, পর্যটকরা স্মৃতিসৌধে ভিড় করছেন, যারা জাতির স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন এবং সেই সমস্ত সাহসী পুরুষ ও মহিলাদের শ্রদ্ধা জানাতে। স্মৃতিসৌধটি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্যাগ স্বীকারের স্মারক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ
জাতীয় স্মৃতিসৌধ

জাতীয় স্মৃতিসৌধ

জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশ ঢাকার সাভারে অবস্থিত একটি আকর্ষণীয় স্মৃতিসৌধ। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়েছে। এটির নকশা করেছেন স্থপতি মইনুল হোসেন এবং ভাস্কর্য করেছেন ওস্তাদ জামিল।

বিষয়সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
নামঅপর নাম সম্মিলিত প্রয়াস
অবস্থানজাতীয় স্মৃতিসৌধ কোথায় অবস্থিত
বন্ধের দিনজাতীয় স্মৃতিসৌধ বন্ধের দিন
সময়সূচীস্মৃতিসৌধ সময়সূচী ২০২৩
উচ্চতাজাতীয় স্মৃতিসৌধের উচ্চতা কত ?
স্থপতিজাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে ?
বিস্তারিত

এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক এবং এর জনগণের অকৃত্রিম আত্মত্যাগের একটি স্মারক। আপনি যদি বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর সম্পর্কে না জানেন তবে বিস্তারিত জেনে নিন।

ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই স্মৃতিসৌধ দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তৈরি করা হয়েছে।

স্মৃতিস্তম্ভটি বীরত্ব এবং সাহসের প্রতীক হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে এবং এর নির্মল পরিবেশ বীরদের স্মরণ করিয়ে দেয় যারা চূড়ান্ত আত্মত্যাগ করেছিলেন। স্মৃতিসৌধটি চারটি বড় ব্রোঞ্জ ভাস্কর্যের একটি সেট ঘেরাও করে যেখানে একজন মা তার শহীদ ছেলেকে ধরে আছেন। স্মৃতিস্তম্ভটি বাংলাদেশী জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ কোথায় অবস্থিত

জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে সাভার নবীনগর এ অবস্থিত। স্মৃতি সৌধটি শহরের কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়ে আছে, চারপাশে সবুজ বাগান এবং শান্তিপূর্ণ হাঁটার পথ।

এটি বাস, ট্রেন বা ট্যাক্সি দ্বারা সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। স্মৃতিসৌধের দর্শনার্থীরা এর মহিমা গ্রহণ করতে পারে এবং দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে খুব সহজেই।

বাংলাদেশ এমন একটি জাতি যা তার নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে এবং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নিদর্শন সাভার স্মৃতিসৌধ যেটি ঢাকা জেলার সাভারের নবীনগরে অবস্থিত। এটি জাতীয় গর্বের একটি সাইট, প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ পরিদর্শন করেন।

জেনে নিন: ঢাকার কম দামে কেনাকাটার সেরা তিনটি মার্কেট

স্মৃতিসৌধটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহতদের সম্মান জানায় এবং এর উপস্থিতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার লড়াইয়ের একটি স্মারক। স্মৃতিসৌধটি সমগ্র বাংলাদেশে শান্তি ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করে এবং স্থানটি আগামী প্রজন্মের জন্য দেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের উচ্চতা

জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এটি শহরের বাণিজ্যিক এবং আবাসিক সেক্টরের সংযোগস্থলে অবস্থিত এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে সহজেই অ্যাক্সেস করা যেতে পারে। এটি পর্যটকদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য যারা দেশের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং দেশের ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে আসে।

  • জাতীয় স্মৃতিসৌধের উচ্চতা ১৫০ ফুট বা ৪৬ মিটার। স্মৃতিসৌধটি দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদদের আত্মত্যাগের একটি গম্ভীর স্মারক এবং এটি বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়ের একটি শক্তিশালী প্রতীক হিসেবে রয়ে গেছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ কি খোলা আছে

আমাদের অনেকেই জানি না স্মৃতিসৌধ খোলা আছে কি না। ঠিক তার জন্য আমরা অনেকেই যেতে চাইলেও পারি না।তাঁদের জন্য বলি যে,

  • বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ সপ্তাহের সাত দিনই সকাল ৬ ঘটিকা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সকল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত বা খোলা থাকে। তবে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত কারন বসত বা সরকারি নির্দেশনা অনুসারে সকাল ৮ টা থেকেও খোলা হয়ে থাকে।
  • সকল সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও স্মৃতিসৌধ সকাল সন্ধ্যা খোলা আছে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নবীনগরে এই স্মৃতিসৌধের শিলান্যাস করেন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের উদ্যাগ গ্রহণ করেন এবং নক্‌শা আহবান করা হয়।

১৯৭৮-এর জুন মাসে প্রাপ্ত ৫৭টি নকশার মধ্যে সৈয়দ মাইনুল হোসেন প্রণীত নকশাটি গৃহীত হয়। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মূল স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে বিজয় দিবসের অল্প পূর্বে সমাপ্ত হয়। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে গৃহীত প্রকল্প অনুযায়ী এখানে একটি অগ্নিশিখা, সুবিস্তৃত ম্যুরাল এবং একটি গ্রন্থাগার স্থাপনের পরিকল্পনা আছে।এই স্মৃতিসৌধের অপর নাম সম্মিলিত প্রয়াস।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের অপর নাম কি ?

জাতীয় স্মৃতিসৌধের উচ্চতা ১৫০ ফুট বা ৪৬ মিটার।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে ?

সৈয়দ মাইনুল হোসেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত স্থপতি। তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধের ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের স্থপতি। তার জন্ম: ১৯৫২ সালে ঢাকার বিক্ৰমপুরে এবং মৃত্যু ২০১৪ সালে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *