সিরাজগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত এবং বিখ্যাত ব্যক্তি 2024
সিরাজগঞ্জ (Sirajganj) জেলা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের একটি জনপ্রিয় জেলা। সিরাজগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সহ জানা অজানা সকল তথ্য জানতে পারবেন।
১৮৪৫ সালে সিরাজগঞ্জ মহকুমা এবং ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে সিরাজগঞ্জ জেলা। এ জেলার দক্ষিণে পাবনা, উত্তরে বগুড়া, পূর্বে টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলা, পশ্চিমে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলা অবস্থিত।
সিরাজগঞ্জ জেলা
সিরাজগঞ্জ জেলার আয়তন ২৮৯৭.৯২ বর্গ কিলোমিটার এ জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছে।সিরাজগঞ্জ জেলা ঢাকা থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বর্তমানে এ জেলায় প্রায় মানুষের বসবাস।
জেনে নিনঃ বাংলাদেশের কোন জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
এটি বাংলাদেশের “এ” শ্রেণীভুক্ত একটি জেলা। সিরাজ আলি চৌধুরী নামক জমিদার এর নামের সাথে মিল রেখে এ জেলার নামকরন করা হয় সিরাজগঞ্জ। যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে ঘড়ে উঠা এই জেলায় বেশ কিছু প্রাকৃতিক নিদর্শন রয়েছে। এসবের মদ্ধে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু।
সিরাজগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত
সিরাজগঞ্জ জেলা মূলত পানিতোয়া মিষ্টি, ক্ষীর খাসা দই, সলপের ঘোল, ধানসিঁড়ি দই এবং বিখ্যাত তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। শুধু তাই নয় দেশের অন্যতম চলনবিল, দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম বড় সেতু বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু এবং সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাধ এ জেলাকে বিখ্যাত করে তুলেছে।
এ জেলায় রয়েছেঃ
- ৭৭টি কলেজ
- ১টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- ১টি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল এবং
- ২ টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ
সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান
সিরাজগঞ্জে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা আমরা সকলে জানি। দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে কুমরুল নবরত্ন মন্দির, চলনবিল, কবি রজনীকান্ত স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগার, জয়সাগর দীঘি এবং ইলিওট ব্রিজ অন্যতম।
এছারাও এ জেলায় রয়েছেঃ
নাম | সংক্ষিপ্ত পরিচিতি |
---|---|
শহর রক্ষা বাধ | এটি সিরাজগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৩ কি.মি উত্তরে অবস্থিত একটি নান্দনিক দর্শনীয় স্থান। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই কোম্পানী প্রায় ৩৩১ কোটি টাকা খরচে এই ২.৫ কি:মি: দীর্ঘ বাধ নির্মিত করে। |
চায়না বাঁধ | সিরাজগঞ্জ সদর থেকে মাত্র ২ কিলো মিটার দূরে অবস্থিত এই চায়না বাধ। যার অপর নাম ক্রসবার-০৩। |
বঙ্গবন্ধু সেতু | যমুনা বহুমুখী সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে নির্মিত একটি সেতু। এই সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪.৮ কিমি। |
ধুবিল কাটার মহল জমিদার বাড়ি | ধুবিল কাটার মহল জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। |
বাঘাবাড়ী নদী বন্দর | বাঘাবাড়ী বন্দর হল বাংলাদেশের একটি প্রধান নদীবন্দর ।এটি বাংলাদেশ এর রাজশাহী বিভাগ এর অন্তর্গত।এটি যমুনা নদী পশ্চিম তীরে অবস্থিত । |
এছারাও রয়েছেঃ
- হার্ড পয়েন্ট
- কবি রজনীকান্ত সেন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
- শহীদ শেখ রাসেল স্মৃতি পৌর শিশু পার্ক
- ভোলা দেওয়ানের মাজার
- মখদুম শাহের মাজার
- মুজিব সুপান
- দুপিল কাটার মহল জমিদারবাড়ি
- মিল্কভিটা
- আটঘরিয়া জমিদার বাড়ি
- শিব দুর্গা মন্দির
- কাচারি বাড়ি
- বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু
- রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর ইত্যাদি ।
ব্যবসা-বাণিজ্যেও পিছিয়ে নেই সেরাজগঞ্জ জেলা এখানে কুটির শিল্প ক্ষুদ্র শিল্প মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের পাশাপাশি একটি স্পিনিং মিল জুটমিল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা রয়েছে। এখানে রয়েছে দেশের বিখ্যাত তাঁত শিল্প যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে শুধু তাই নয় এখানে মিল্ক ভিটা রয়েছে যা দেশের দুগ্ধ চাহিদা অনেকাংশেই মিটিয়ে থাকে।
সিরাজগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
সিরাজগঞ্জের কিছু বিখ্যাত ব্যক্তি রয়েছে যারা এই সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান এবং এ জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। বিখ্যাত ব্যক্তি দের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী,আবদুল্লাহ আল-মুতী, সুচিত্রা সেন এবং হৈমন্তী শুকলা অন্যতম।
- মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
- প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
- বণিক সম্রাট যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী
- বিখ্যাত রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ
- জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এম মনসুর আলী
- প্রখ্যাত উপন্যাসিক মকবুলা মঞ্জুর
- বিখ্যাত বিজ্ঞান লেখক ও শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আল-মুতী
- কন্ঠ শিল্পী হৈমন্তী শুকলা এবং
- অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনপ্রভৃতি।
আপনি কি শিক্ষা, ট্রেনের খবর, ট্রাভেল গাইড, মার্কেট গাইড সহ সকল জেলার আপডেট পেতে চান ? তাহলে আপনি উঁকি মারতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ এ!!
ঢাকা থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সিরাজগঞ্জ জেলা। সিরাজগঞ্জ জেলায় রয়েছে নানা ইতিহাস-ঐতিহ্য এক অপূর্ব লীলাভূমি আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছি সিরাজগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
সিরাজগঞ্জ জেলার থানা কয়টি
সিরাজগঞ্জ এক ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জনপদের নাম সিরাজগঞ্জ জেলায় রয়েছে ৯টি উপজেলা বা থানা। থানা সমূহ হচ্ছেঃ বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ সদর, চৌহালী, কামারখন্দ, কাজীপুর, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, তাড়াশ এবং উল্লাপাড়া।
সিরাজগঞ্জ জেলায় মোট নয়টি উপজেলা এবং ১২টি থানা রয়েছে। এই ১২ টি থানার নাম হলঃ বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ সদর, চৌহালী, কামারখন্দ, কাজীপুর, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, সলঙ্গা, এনায়েতপুর এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম।
- বেলকুচি
- সিরাজগঞ্জ সদর
- চৌহালী
- কামারখন্দ
- কাজীপুর
- রায়গঞ্জ
- শাহজাদপুর
- তাড়াশ এবং
- উল্লাপাড়া।
গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্য
প্রশ্নঃ সিরাজগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত ?
উত্তরঃ সিরাজগঞ্জ জেলা মূলত পানিতোয়া মিষ্টি,ক্ষীর খাসা দই, সলপের ঘোল, ধানসিঁড়ি দই এবং বিখ্যাত তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত।
প্রশ্নঃ সিরাজগঞ্জ জেলার থানা কয়টি ?
উত্তরঃ সিরাজগঞ্জ জেলার ১২ টি থানা।
প্রশ্নঃ সিরাজগঞ্জ জেলার উপজেলা কয়টি ?
উত্তরঃ সিরাজগঞ্জের উপজেলা মোট ৯টি।
প্রশ্নঃ সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান সমূহ কি কি ?
উত্তরঃ চলনবিল ,কবি রজনীকান্ত স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগার, জয়সাগর দীঘি,ইলিওট ব্রিজ ।
প্রশ্নঃ সিরাজগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা কত ?
উত্তরঃ প্রায় 33 লক্ষ।