২০১ গম্বুজ মসজিদ কোথায় | 201 গম্বুজ মসজিদ টাঙ্গাইল

২০১ গম্বুজ মসজিদ
201 Gombuj Mosjid

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৩৩ কি.মি.(132.5KM ) দূরে অবস্থিত অপরূপ সৌন্দর্য মণ্ডিত একটি মসজিদ হল ২০১ গম্বুজ মসজিদ। এটি টাঙ্গাইল জেলার গোপালগঞ্জ উপজেলার পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত। এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি গম্বুজ বিশিষ্ট যতগুলো মসজিদ রয়েছে, এই মসজিদটি তাদের মধ্যে অন্যতম একটি মসজিদ।

তাই আজকে আমরা জানব এই ঐতিহাসিক মসজিদ কোথায়, প্রতিষ্ঠাতা এবং কিভাবে যাবেন বিস্তারিত। আর যেহেতু এটি টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত তাই টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সহ অজানা তথ্যও জানানো হবে।

টাঙ্গাইল জেলা সম্পর্কে অজানা তথ্য জেনে নিন

২০১ গম্বুজ মসজিদ

২০১ গম্বুজ মসজিদটি হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার গোপালগঞ্জ উপজেলার পাথালিয়া গ্রামে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ এর একটি। পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার বিশিষ্ট মসজিদ হিসেবেও এটি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। মসজিদটিতে রয়েছে ছোট বড় প্রায় ২০১ টি গম্বুজ এবং নয়টি মিনার।

এই মসজিদ কমপ্লেক্সটির আওতাভুক্ত বেশ কিছু সুবিধার মধ্যে রয়েছেঃ

  • বিনামূল্যে চিকিৎসা কেন্দ্র
  • গরিব ও মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের পূর্ণবাসন কেন্দ্র
  • একটি এতিমখানা
  • একটি সমাধিস্থল
  • হোটেল ও
  • দুটি হেরিপেড ব্যবস্থা।

আপনি কি শিক্ষা, ট্রেনের খবর, ট্রাভেল গাইড, মার্কেট গাইড সহ সকল জেলার আপডেট পেতে চান ? তাহলে আপনি উঁকি মারতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ এ!!

মসজিদটির ছাদে প্রায় ৮১ ফুট উচ্চতার একটি বিশাল আকৃতির গম্বুজ রয়েছে এবং তার চারপাশে আরো ছোট ছোট ১৭ ফুট উচ্চতার ২০০ টি গম্বুজ রয়েছে। তার চারপাশে আরও চারটি মিনার  রয়েছে ১০১ ফুট  উচ্চতার। এই মসজিদটির পাশে রয়েছে সব থেকে বড় মিনার যার উচ্চতা ৪৫১ ফুট,যা ৫৭ তলা বিশিষ্ট ভবনের সমান।

বিষয়বস্তুসংক্ষিপ্ত বিবরন
নাম২০১ গম্বুজ মসজিদ বা পাথালিয়া মসজিদ
অবস্থানটাঙ্গাইল জেলার গোপালগঞ্জ উপজেলা(পাথালিয়া গ্রাম)
প্রতিষ্ঠাতাবীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট(রিজিয়া খাতুন)
উদ্বোধনবীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট চেয়ারম্যান রিজিয়া খাতুন
কিভাবে যাবদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাস কিংবা ট্রেনে যাওয়া যাবে

২০১ গম্বুজ মসজিদ টাঙ্গাইল

২০১৩ সাল থেকে কাজ শুরু হয়ে ২০১৮ সালে আলোড়ন সৃষ্টিকারী স্থাপনাগুলোর মধ্যে টাঙ্গাইল এর ২০১ গম্বুজ মসজিদ একটি। নান্দনিক কারুকার্য সম্বলিত এই মসজিদের মূল ফটক (গেট) প্রায় ৫০ মন পিতল দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে।

  • টাঙ্গাইল এর ২০১ গম্বুজ মসজিদ এ রয়েছে প্রায় ১০১ ফুট উচ্চতার চারটি (০৪) মিনার।ছোট ছোট ২০০ (দুইশত) টি মিনার এবং বড় একটি (৮১ মিটার) মিনার রয়েছে। এই মসজিদটি টাঙ্গাইল এর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে।

কোথায় অবস্থিত

২০১ গম্বুজ মসজিদ টি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার নগদা সিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত।গোপালপুর সদর উপজেলা থেকে প্রায় সাত (৭) কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঐতিহাসিক এই মসজিদটি। এই মসজিদ এর পাশ দিয়ে বিয়ে গেছে ঝিনাই নদী। যার পারিপার্শ্বিক সুন্দর প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ ভ্রমন পিপাসুদের মুগ্ধ করবে । ঝিনাই নদীর তীরে অবস্থিত এই মসজিদটি পুরো দোতলা বিশিষ্ট।

  • প্রায় ১৫ বিঘা জমির উপর অবস্থিত এই ২০১ গম্বুজ মসজিদটি টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে গোপালপুর উপজেলার প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে খুব সহজে আসা যাবে।

কিভাবে যাবো

টাঙ্গাইল জেলার আশেপাশে যে সকল জেলা রয়েছে (জামালপুর, বগুড়া, ঢাকা, সিরাজগঞ্জ, পাবনা,নওগাঁ, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, মধুপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা,ফরিদপুর) সে সকল জেলা থেকে থেকে দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যাবে।৷

প্রথমে বাসে কিংবা সিএনজি করে টাঙ্গাইল জেলাতে আসতে হবে।। সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাসে করে বা সিএনজি ভাড়া করে গোপালপুুর উপজেলায় আসতে হবে। গোপালপুর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অটো ভাড়া করে অথবা সিএনজি করে সরাসরি “পাথালিয়া মসজিদ” এর নাম বললে নিয়ে যাবে।

মসজিদটি নির্মাণে ১০০ কোটিরও বেশি টাকা খরচ হয়। এইসব জায়গা থেকে দিনে গিয়ে বিকেলের মধ্যে ফিরে আশা যাবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভোরে রওনা দিতে হবে গোপালপুর পৌছাতে আপনার সর্বোচ্চ ৪-৫ ঘন্টা সময় লাগবে আবার ঘোরাঘুরি করে আপনি বিকেলের দিকে বাসার জন্য রনা করতে পারবেন।

এই মসজিদ ভ্রমণে থাকা এবং খাওয়া মসজিদের পাশেই রয়েছে ছোট বড় কয়েকটি খাবারের দোকান, সেগুলোতে সকাল, দুপুর ও রাতে হালকা খাবার সহ ভারি খাবার পাওয়া যাবে।

আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন

প্রশ্নঃ ২০১ গম্বুজ মসজিদ এর প্রতিষ্ঠাতা কে ?

উত্তরঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান রিজিয়া খাতুন। যিনি মরহুম রফিকুল ইসলাম এর মা।

প্রশ্নঃ ২০১ গম্বুজ মসজিদ উদ্বোধন করেন কে ?

উত্তরঃ ২০১ গম্বুজ মসজিদ এর ভিত্তিপস্তর উদ্বোধন করেন মরহুম রফিকুল ইসলামের মা এবং পরবর্তীতে মসজিদুল হারম এর ইমাম এসে উদ্বোধন করবেন কাজ শেষ হলে।

প্রশ্নঃ ২০১ গম্বুজ মসজিদ কোন নদীর তীরে অবস্থিত ?

উত্তরঃ ২০১ গম্বুজ মসজিদ ঝিনাই নদীর তীরে অবস্থিত একটি সুন্দর ও মনোরম শান্তিপূর্ণ মসজিদ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *